শহীদ তৃণমূল কর্মী ফিরদৌসের মৃত‍্যু বার্ষিকী পালন : শ্রদ্ধা জানালেন বিধায়ক সহ ব্লক নেতৃত্ব

31st May 2021 11:40 pm বর্ধমান
শহীদ তৃণমূল কর্মী ফিরদৌসের মৃত‍্যু বার্ষিকী পালন : শ্রদ্ধা জানালেন বিধায়ক সহ ব্লক নেতৃত্ব


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : তৃণমূল কংগ্রেস দল করার জন্যে বাম আমলে অনেকেই খুন হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক জন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের মরাবাঁধ গ্রামের ফিরদৌস রহমান ওরফে বোটন।১৯৯৮ সালের ৩১  মে পঞ্চায়েত ভোটের ফল ঘোষনার পরদিন খুন হন তৃণমূল কর্মী ফিরদৌস রহমান । টাঙ্গি ও কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে ১১ জন  সিপিএমের হার্মাদদের বিরুদ্ধে ।তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয় । চারজন গ্রেপ্তারও হয়েছিল । ব্যাস ওই পর্যন্তই । তারপর থেকে পেরিয়ে গিয়েছে ২৩ টা বছর । কিন্তু ফিরদৌসের খুনিদের  কারুর সাজা আজও  হয় নি । যাঁদের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তাঁরা সবাই খালাস পেয়ে গিয়েছেন ।তবুও প্রতি বছর ৩১ মে  তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ঘটা করে পালন করেন ফিরদৌস রহমানের শহীদ দিবস। যদিও মৃতর মা তহুরা পুরকাইত শহীদ দীবস পালনের থেকেও বেশী করে চান খুনিদের শাস্তি ।সেই দিন আদৌ আর আসবে কিনা তা জানেন না ফিরদৌসের পরিবার । তৃণমূল কর্মী ফিরদৌস রহমান খুন হওয়ার পর  জাড়গ্রামের মরাবাঁধে  তৈরি করা হয়েছিল শহীদ বেদি । এদিন ফুল মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় সেই বেদি।  জামালপুরের বিধায়ক অলোক  মাঝি ,ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মেহেমুদ খাঁন ,যুব  সভাপতি ভূতনাথ মালিক সহ এক ঝাঁক নেতা নেত্রী এদিন বিকালে ফিরদৌসের শহীদ  বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে শ্রদ্ধা জানান । পাশাপাশি নেতারা শহীদ বেদির সামনে দাঁড়িয়ে ৯৮ সালের  সেই ভয়াবহ দিনের স্মৃতি চারনাও করেন । কিন্তু অভিযুক্তরা কেন ঘটনার ২৩ বছর বাদেও শাস্তি পেলেন না তার উত্তর কেউই  দিতে পারলেন না ।সবাই আইনের যাঁতাকলের দোহাই দিয়ে পাশ কাটালেন । তবে নেতাদের আড়ালে থাকা জাড়গ্রামের পুরানো  কয়েকজন তৃণমূল কর্মী এদিন বলেন , কে কাকে শাস্তি দেবে ।সেদিন যারা তৃণমূল কর্মীদের পেটাতো ,এলাকায় সন্ত্রাস চালাতো, তাঁরা সবাই এখন তৃণমূলে ভিড়ে গিয়েছেন । জাড়গ্রামে এখন মার্কসবাদী তৃণমূলীরাই দাপট দেখাচ্ছে ।তাই ফিরদৌসের খুনিদের বিচার আর কোন কালেই হবে না বলেই মত পুরানো তৃণমূল কর্মীদের । 

 নিহত ফিরদৌসের বৃদ্ধা মা জাহানারা পুরকাইত এদিন বলেন , “তাঁর ছেলের খুনিদের  বিচার আল্লাহই করবেন । সেই আবেদনই  তিনি প্রতিদিন আল্লাহর কাছে রাখেন” । ফিরদৌসের দাদা জাহাঙ্গীর রহমান এদিন বলেন ,তাঁর ভাই খুন হওয়ার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জামালপুরে এসেছিলেন। সভাও করেছিলেন ।জাহাঙ্গীর বলেন ,’তাঁদের পরিবারের কথা ভেবে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে রেলে চাকরি করে দেন । কিন্তু আক্ষেপ  একটাই রয়েগেছে ,তাঁর ভাইয়ের খুনিরা কেউ শাস্তি পেল না । বিষয়টি নিয়ে ফের  তৃণমূল নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান ফিরদৌসের মা ও দাদা “। এই প্রসঙ্গে জামালপুর ব্লক তৃণমূলে সভাপতি মেহেমুদ খাঁন বলেন ,“খুনের মামলায় যারা সাক্ষী ছিলেন তাঁদের অনেকে মারা যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয় ।বর্ধমান আদালতে মামলা চলাকালীন অভিযুক্তরা খালাস পেয়ে গিয়েছে ।তবে উচ্চ আদালতে এই মামলার  নিস্পত্তির কোনও বিধান আছে কিনা সেই বিষয়টি নিয় রাজ্য নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে মেহেমুদ খাঁন জানিয়েছেন’ । 
   

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।